হাওরপাড়ের বিশাল এক সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল নিকলী। নিকলীর আঞ্চলিক কথ্য বা লোকভাষা মৈমনসিংহ গীতিকার প্রচলিত ভাষা বলে পরিচিত হলেও নিকলীর মানুষ তিন ধরনের ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়।
১. চওড়া ভাষা
২. মাওড়া ভাষা
৩. নাগ্রিগ বা নায়াগ্রা বা নাগ্রী ভাষা
এ ভাষা বাংলা আঞ্চলিক লোকসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। রচনা করেছে মহামূল্যবান লোকসাহিত্যের ইতিহাস। ফোকলোর বা লোকসাহিত্য কিংবা লোক-সংস্কৃতিকে স্থানীয় বিশেষ বিষয়গুলো দ্বারা বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যেমন:
১. লোকগান
২. লোককিসসা
৩. মেয়েলী গীত বা গান
৪. লোকছড়া
৫. লোকধাঁধাঁ
৬. লোক প্রবাদ
৭. লোক প্রবচন
৮. লোক বিশ্বাস
৯. লোক সংস্কার
১০. লোপক-কুসংস্কার
১১. কিংবদন্তী
১২. তন্ত্র, মন্ত্র
১৩. পালাগান
১৫. কবিগান
১৬. ঘাটুগান
১৭. নৌকা বাইচের গান
১৮. সারিগান ইত্যাদি।
ফোকলোর হলো পৌরাণিক লোককাহিনী। গ্রামবাংলার পল্লী লোকসমাজ তাদের মনের ভাব প্রকাশে যে সাহিত্য সৃষ্টি করে তাকেই লোকসাহিত্য বলে। এ প্রসঙ্গে মৈমনসিংহ গীতিকার কথা উদাহরণস্বরূপ বলা যায়। লোকসাহিত্যের জনপ্রিয়তা ভাটি অঞ্চল কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা হাওর জনপদে আজও বিশাল অবস্থান রয়েছে। এ নিকলী অঞ্চল থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছিল “মাধবী মালঞ্চ কইন্যা” নামের একটি প্রাচীন পালাকাব্য। এ অঞ্চলের সাহপুর নামক গ্রাম থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছিল “পৈলন খা” নামক প্রাচীন পালাকাব্য।[১] এ দু’টি পালাকাব্য বর্তমানে বাংলা একাডেমি সংগ্রহশালার গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত আছে। প্রবাদ প্রবচন ধাঁধাঁ, ছড়া, কল্পকাহিনী, কিসসা, শিলুক, রূপকথা, লোককথা, লোকবিশ্বাস, লোকউৎসব, কিংবদন্তী ইত্যাদি লোকসাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত। বাংলার লোকজীবন থাকলে তার লোকসংস্কৃতিও থাকবে। এগুলো যুগ যুগ ধরে এ অঞ্চলের মানুষ লালন পালন করে ও গ্রহণ করে। একটি দেশের একটি অঞ্চলের একটি জেলার উপজেলার মৌলিকতা ও স্বকীয়তার পরিচয় তার লোকসংস্কৃতি দ্বারাই সম্ভব। বাংলার আঞ্চলিক সংস্কৃতি বর্তমানে তিন প্রকার। যথা:
১। নগর-সংস্কৃতি
২। লোক-সংস্কৃতি
৩। আদিম সংস্কৃতি। [১]
যার কিছুটা প্রমাণ করেছেন লোকসঙ্গীত গবেষক প্রিন্স রফিক খান। এ ছাড়াও হাওর গবেষক (অপ্রকাশিত) খাইরুল আলম বাদলের ৩০ বছর আগে রচিত একটি গানের মধ্যেও প্রমাণ পাওয়া যায়। এমন একটি গান উল্লেখ করা হলো:
হাওর বাওর খাল বিল ভরা, চৌ দিকেতে জল
আরে চৌ দিকেতে জল। (কোরাস)
নিকলী থানা কিশোরগঞ্জের পুবেরও অঞ্চল।
ভাইরে পুবেরও অঞ্চল (কোরাস)
নরসুন্দা সোয়াইজনি ঘোরাউত্রার পাড়ে
ধনু নদীর বাঁকে বাঁকে যারা বসত করে।
ভাইরে যারা বসত করে (কোরাস)
এই থানাতে জন্ম নিলেন যত জ্ঞানী গুণীজন
বন্দনা করিলাম আমি সবারই চরণ।
হায়রে সবারই চরণ (কোরাস)
জন্ম নিলেন আদুরীনাথ, কানাই মাউদ জন,
হাজী সাহেব, লাল গুসাইয়ার প্রেমিক নিরাজন।
হায়রে প্রেমিক নিরাজন (কোরাস)
সুখেন-হেকিম-নান্টু-মালেক, দিয়া তাদের প্রাণ
যুদ্ধ করে রাখলো হায়রে এই বাংলাদেশের মান।
ভাইরে বাংলাদেশের মান (কোরাস)
নূরালী ওস্তাদ ছিলেন, ছিলেন নূর হোসেন
গুণী ভূষণ, শুকিন্দু দাস রায়,
আরো যত ওস্তাদ আছেন তাদের চরণ ধরিলাম।
ভাইরে চরণ ধরিলাম (কোরাস)
নিকলী জন্ম বীর বিক্রম মতিউর রহমান।
ভাইরে মতিউর রহমান (কোরাস)
সব চরণ বান্ধিয়া জারি, শুরু করিলাম
ভাই-বোনেরা, শুরু করিলাম
নিকলী থানা মোদের জন্মস্থান ভাই-বোনেরা থাকি মিলে হিন্দু-মুসলমান।
নিকলী থানা মোদের জন্মস্থান ভাই-বোনেরা থাকি মিলে হিন্দু-মুসলমান (কোরাস)।।
নদী ঘেরা থানা ভাইরে হাওর ভরা ধান,
পুকুর ভরা মাছ আছে ভাই শষ্যতে উঠান।
হায়রে শষ্যতে উঠান (কোরাস)
ছায়া ঘেরা পাখির ডাকা ছোট ছোট গ্রাম
বাড়ি বাড়ি আছে হেতায় আম কাঁঠাল বাগান।
হায়রে আম কাঁঠাল বাগান (কোরাস)
মন্দিরে যা সুর বাজে, মসজিদে আযান।
ভাইরে মসজিদে আযান (কোরাস)
হিন্দু মুসলিম আছি যেন, এক মায়ের সন্তান।
ভাই-বোনেরা এক মায়ের সন্তান (কোরাস)
নিকলী থানা মোদের জন্মস্থান ভাই-বোনেরা
থাকি মিলে হিন্দু মুসলমান ।।
এই থানাতে আছে অনেক পুরা নিদর্শন
গুরই মসজিদ দয়াল কুটি, শ্রী দূর্গা ভবন।
লাল গুসাইয়ের আখড়া আছে বরই পুরাতন,
আরে ছেত্রা গ্রামে আখড়া নির্মাণ করেন নারায়ণ।
পালবাড়ি আর পাটের গুদাম বড়ই মনোরম
হায়রে বড়ই মনোরম (কোরাস)
দেইখা জুড়ায় দুইটি নয়ন।।
দেইখা জুড়ায় দুইটি নয়ন (কোরাস)
দেইখা জুড়ায় দুইটি নয়ন,
হায়রে করছি নিবেদন।
নিকলী থানা মোদের জন্মস্থান ভাই-বোনেরা, থাকি মিলে হিন্দু মুসলমান।। (কোরাস)
অতিথি পাখিদের মেলা শীতে কলতান
বকের সারি উড়লে পরে সাদা হয় আসমান।
বর্ষাকালে চৌদিকে জল কক্সবাজার সমান
ভ্রমণপিপাসু ভাইয়েরা একবার দেইখা যান।
ঢেউয়ের তালে ডিংগি নৌকায় মারবেন বৈঠায় টান
মারবেন বৈঠায় টান (কোরাস)
আরে মাঝির কণ্ঠে শুনতে পারবেন ভাটিয়ালী গান।।
আরে মাঝির কণ্ঠে শুনতে পারবেন ভাটিয়ালী গান।। (কোরাস)
নিকলী থানা মোদের জন্মস্থান ভাই-বোনেরা, থাকি মিলে হিন্দু-মুসলমান ।।
হাটে-ঘাটের মানুষ আমরা সরলও জবান
এই পর্যন্ত গাইলাম আমরা ভাটির উপাখ্যান।
আরে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করিতে হবে না জোয়ান।
আরে হবে না জোয়ান (কোরাস)
আরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করিতে হবে না জোয়ান।
আরে হবে না জোয়ান (কোরাস)
নিলাম বিদায় দিয়া মোদের ভাইটালি সেলাম ভাই-বোনেরা।।
নিকলী থানা মোদের জন্মস্থান ভাই-বোনেরা থাকি মিলে হিন্দু মুসলমান ।।
এ গানটি অডিও স্পুল শুনে লেখা হয়েছে। তাই কিছু শব্দ বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য আমি সংগ্রাহক হিসেবে ক্ষমা প্রার্থী। এ নিয়ে কথা হয় হাওর গবেষক খাইরুল আলম বাদলের সাথে। তিনি জানান, এই গানটিতে সবচেয়ে বড় যে ভুলটি হয়েছে সেটি হলো আমাদের শিক্ষাগুরু সর্বজনশ্রদ্ধেয় আব্দুল হামিদ স্যারের নাম বাদ পড়েছে। ভবিষ্যতে এর পূর্ণ সংস্করণ করব বলে কথা দিচ্ছি।
ভ্রমণপিপাসুদের মনের খোরাক মেটানোর এক অপরুপ স্থান নিকলী হাওর। কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা উপজেলার প্রায় সবটুকু এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই হাওর। এর সৌন্দর্যে খুঁজে পাওয়া যায় গ্রামীণ পরিবেশের স্বকীয়তা। বিশাল জলরাশির বুকে বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট গ্রাম। চারদিক গাছগাছালিতে ভরা। যেন একেকটা ছোট ছোট দ্বীপ। হাওরজুড়ে গলা ডুবিয়ে থাকা হিজল গাছের সারি বা পানির নিচ থেকে জেগে ওঠা করচের বন কিংবা শুশুকের লাফ-ঝাঁপ মুহূর্তেই আপনার মন ভালো করে দেবে।
কিশোরগঞ্জ সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে নিকলী উপজেলা। দ্বীপের মতো ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের নাচন, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, রাতারগুলের মতো ছোট জলাবন ও হাওরের নানান স্বাদের মাছ। দূর থেকে নিকলী দেখে মনে হয় দিগন্তজোড়া আকাশ। চারদিকে থই থই জল; যেন আকাশ ভিজিয়ে দিয়েছে। এসব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় নিকলীর অপরূপ হাওর ভ্রমণে।
নিকলীর জাকির দেওয়ান গানে গানে আহ্বান জানিয়েছেন ভ্রমণ পিপাসুদের।
আইবাইন বইবাইন দেকবাইন গুরবাইন
মন বরিবে দখিণা বাতাসে
কিশোরগঞ্জে নিলহী তানা বেরীবান্দেতে।।
তাজা মাছের টাটকা কানা
স্বাদে গন্দে নাই তুলনা
গোসল কইরা শান্তি করবাইন বুক
মনে চাইলে শান্তি মতে গুমাইবাইন লাইতে।।
হাজার বৎসরের আছে ছিতি
জারি সারি বাউল গীতি
কত লোক অই নাউ দৌড়ানিতে
মন্দির, মছিদ, মাজার, আছে নিলহী তানাতে।।
গুম বাংগিবে পাখির ডাকে
নদী আছে বাকে বাকে
সূর্য আছে দেখতে কি সুন্দর
নিলহীর জাকির দেওয়ান করি আহোবান
আইবাইন বেড়াইতে।।
নিকলীর জাকির দেওয়ান রচিত এমন আরো কিছু গান নিচে দেওয়া হল:
১. পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করেছেন বাংলার সরকার
নিকলীতে কী রূপেরী বাহার (হাই গো)।।
কিশোরগঞ্জে নিকলী থানা কত লোকের আনাগোনা
শান্তি পায়া খানাপিনা ঘুরতে আসে বারে বার।।
থাকা-খাওয়ার আছে সুযোগ গোসলেতে জুরাই যায় বুক
দর্শনেতে শান্তি দুই চোখ নৌকাতে হয় পারাপার।।
ভ্রমণপ্রেমী ভাই-বোনেরা
ঘুরতে আসেন নিকলী থানা
তাজা মাছের টাটকা খানা
মন ভরিয়া যায় সবার।।
হাজার বর্ষের আছে স্মৃতি
আরো জারি, সারি, বাউল, গীতি
জাকির দেওয়ান জানায় প্রীতি নিকলী, একবার দেখিবার।।
২. অবুঝ মন আমার রাজা হতে চায়
বল সেই রাজত্ব কোথায় গেলে পাই।।
মন শুধু চায় জমিদারী হাতে নাই মোর টাকা কড়ি
আমি করি কত বাবুগিরি, তবু মনে কী জানি কী চায়।।
মনটা আমার শয়তানেরি ভাই
তাইতো মনে এতো কিছু চায়
বুঝাইলে না বুঝে মনে
বল এখন কী গতি ঘটায়
এক মদন বেটা বইসে আমার নায়।।
৩. কুমড়া দিলাম জিংগা দিলাম
আরো দিলাম ইছা মাছ
একটু বালা কইরা আমারে কাউয়াইছে।।
আনলা তুমি গুড়া মাছ
কাটতে কাটতে সর্বনাশ
ফুলাফানের আছে কত কী
করতে করতে সংসারের কাম
ছেংরা ছেড়ি বুড়া হইলাম
ধরলো আমার সর্দি জ্বর।।
নারীরা ঘরে থাহে
ফুলাফানও সংসার দেহে
পুরুষেরা বাইরে থাহে বারো মাস,
নারী পুরুষ সবই মিলে
একলগে কাম করলে
মিলবো সুখের আবাস।।
নারীরা শান্তির আশা
পুরুষেরে দেয় ভালোবাসা
পুরুষেরা সংসার বুঝে কম,
নারী-পুরুষ হইয়া সাদা
সংসারের কাম করা মাদা
নাইলে অইবো সর্বনাশ ওই।।
জাকির দেওয়ান হইলাম পুরুষ
চলাফেরায় আছে দোষ
শুদ্ধ হইতে হইতে জীবন শেষ,
ভুল বেয়াদবি ক্ষমা চাইয়া
সংসারের গান গেলাম গাইয়া
জম দরছে আমারঅ পাছ।।
৪. যত মানব জাত মিলাই হাত করি মোরাপন
সবে মিলে করবো আমরা নিকলীর উন্নয়ন।।
এক সময়ে ছিলো সেতায় জলময় বসতি
আজ ভেসে উঠে চোখে কৈশোরের ওই স্মৃতি
বাতান ভরা গরু-মহিষ গাছে পাখ-পাখালি
মাঝির কণ্ঠে গাইতো গান রংডির বাদাম তুলি
সোয়াইজনী নদীর বুকে নৌকা সারি সারি
যাত্রা ঘাটু জারি সারি হইতো বাড়ি বাড়ি
ময়ুরপংখি রপ্তানি নাউ দেখতো মনোহর
নৌকাবাইচ হইতো নিকলী আহা কি সুন্দর
নিকলী থানায় আছেন কত জ্ঞাণী-গুণী মোহাজন।।
পর্যটক কেন্দ্র হবে সরকারের ঘোষণা
বাণিজ্যের ব্যবস্থা হবে নাইকো মানা
রাস্তা-ঘাট উন্নতি হলে সুখে রবে জনগণ।।
শফিক সাগর আহ্বান করে বড়বাড়ির সন্তান
সহজ সরল হইয়া সবাই বাড়াও নিকলীর মান
গানে গানে সবার কাছে দোয়া চাই জাকির দেওয়ান।।
৫. কোডি আনলা বালা আনলা কত গুরাগারা
ফুলাফানে চাইতাছে ফহির বেটা কারা।।
কত জ্বালা তাহি সইয়া
তুমি থাহো একটা লইয়া
ফুলাফান সব বাইরে থাহে
কিস্তা হয় না আমারে ছাড়া।।
আর কয়ডা দিন দৈর্য ধরো
ছেড়া ছেড়ি বড়ো করো
বিদ্যা বু্দ্ধি হইলে পরে
এরা দিবে মাথা লারা।।
পড়ে দেখো পাক কালাম
নারী-পুরুষ আল্লাহর গোলাম
জাকির দেওয়ান গান লিখিলাম
মানুষ হইলো সৃষ্টির সেরা।।
ষোড়শ শতকের শেষের দিকে ঘাটুগানের প্রচলন হয় বলে গবেষকরা ধারণা করছেন। অধিকাংশ গবেষক মনে করেন, শ্রীকৃষ্ণের প্রেমমগ্ন কোনো এক ভক্ত রাধা সেজে কৃষ্ণের অপেক্ষায় ছিলো। তখন তার কিছু ভক্ত গড়ে ওঠে। এই ভক্তদের মধ্য হতে ছেলেশিশুদের রাধার সখি সাজিয়ে নেচে নেচে বিরহের গান গাওয়া হতো এবং এভাবেই ঘাটু গানের প্রচলন শুরু হয়।
ঘাটুগান আজ বিলুপ্ত প্রায়। অঞ্চলভেদে ঘাটু শব্দের উচ্চারণগত ভিন্নতা দেখা যায়। কারো কারো কাছে শব্দটি “ঘাঁটু”, “ঘেটু”, “গেন্টু”, “ঘাড়ু”, “গাড়ু” উচ্চারণে পরিচিত। তবে উল্লিখিত স্বীকৃত সমাজ একে “ঘাটু” হিসেবেই ব্যবহার করেন। সুনামগঞ্জের লোকজন ঘাটুকে “ঘাডু” বলে থাকেন।
তবে হাওর গবেষক (অপ্রকাশিত) খাইরুল আলম বাদল দাবি করেন, এ ঘাটু গানের উৎপত্তি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এর কিছু অকাট্য যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। আগামী পর্বে এ ঘাটুগান নিয়ে থাকছে আমার একটি বিশেষ পর্ব।
সহযোগিতায় : মো আঃ ছাত্তার রিটন চিশতী, কারার বদরুল মোমেন হিমেল, মো. জুনায়েদ হোসেন রাজু।
তথ্য সংগ্রহ : খাইরুল আলম বাদল, জাকির দেওয়ান।
তথ্যসূত্র : [১] তথ্য বাতায়ন, নিকলী উপজেলা।