হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৪

শেখ মোবারক হোসাইন সাদী ।।

মাসির বাড়ি কিশোরগঞ্জে
মামার বাড়ি চাতলপাড়।
বাপের বাড়ি বাউনবাইরা
নিজের বাড়ি নাইরে আমার!
আমি রে যে জলের ….

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণাকালে মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগত, এই যে মানুষ এমন চমৎকার ছড়া বলে তা তারা কোথা থেকে শিখল বা জানলোই কিভাবে! কোন কবি সাহিত্যিক বা লেখক কী আছে তাহলে? আবার প্রশ্ন জাগে যদি এ লোকছড়াগুলোর লেখক থাকে তবে হাওরপাড়ের নিরক্ষর মানুষগুলো শিখল কিভাবে। নাকি কোন দৈবিকভাবে শিখেছে তাঁরা। এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বের হয়েছিলাম। যা যা খুঁজে পেলাম তা আমার কাছে আশানুরূপ।

হাওরপাড়ে বিশেষ করে নিকলী, ইটনা, মিঠাইমন ও অষ্টগ্রামের মানুষ আইড় বেধে কথা বলতে পছন্দ করে। যেমন-

“উনছিলাম না কথা চৈৎ মায়া লতা।”

আইড় এটি একটি হাওরী শব্দ, যাকে আমরা এর আগে বারবার বলে এসেছি লোকছড়া। আর এ লোকছড়া, লোকগাঁথা, লোককথাকে আইড় বলে। এ আইড়ে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তবে এ দিকে নজর দেওয়ার আগে নিচে আরো কয়েকটি আইড় আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেই যেন বুঝতে একটু সহজ হয়।

১। জাতের ধারা, কুজাতের ছাড়া
যেহানো ফালা এহানোই জালা।

২। যার আথে রান্দা না খাইছি
এ বড় রান্দরী,
যারে জীবনে না দেখছি
এ খুব সুন্দরী।

৩। ছ্যারা কান্দে ছেরি কান্দে
বিস্কুডের লাইগ্গা,
চুতমারানির মাগি কান্দে
জলপোইয়ের লাইগ্গা।

বৈশিষ্ট্য-

ক। ছন্দ মিল

খ। বিশেষ অর্থ প্রকাশ

গ। নির্দিষ্ট কোনো ঘটনা

এ বৈশিষ্ট্যগুলো আমি আমার মতো আলোচনা করছি। তবে বিজ্ঞজনের মতামত থাকাটা দোষের মনে করছি না। কারণ আমি গবেষণার মাঠে কাজ করার সময় ও কথকদের সাথে কথা বলে যেমন জেনেছি আমি শুধু তা আমার ভাষায় তুলে ধরছি।

(ক) ছন্দ মিল : উপরোক্ত তিনটি আইড় থেকে খুব সহজে আমরা বুঝতে পারি যে ছন্দের এক চমৎকার ব্যবহার। স্থানীয়দের ভাষায় কোন ঘটনাকে মিল করে বলার নাম ছন্দ। তবে বাংলা ব্যাকরণের বিশেষ নিয়ম তো রয়েছেই। তাহলে আসুন দেখি ব্যাকরণের ছন্দ বিষয়ে কি বলা আছে।

সংস্কৃতি ভাষার ছন্দ শব্দের অর্থ, কাব্যের মাত্রা আর এক অর্থ ইচ্ছা। তাই মাত্রা নিয়মের যে বিচিত্রতায় কাব্যের ইচ্ছাটি বিশেষভাবে ধ্বনি-রূপায়ন হয়ে ওঠে তাকে বলে ছন্দ।

“ছন্দ” শব্দের ব্যাপক অর্থ গতি-সৌন্দর্য বা সৌন্দর্যহীন গতিকে ছন্দ বলা চলে না।

(খ) প্রখ্যাত ছন্দসিক প্রবোধচন্দ্র সেনের মতে- শিল্পিত বাকরীতির নামই ছন্দ।

(গ) আব্দুল কাদিরের মতে- শব্দের সুমিত ও সুনিয়ন্ত্রিত বাণী বিন্যাসকে বলা হয় ছন্দ।

এখন উপযোক্ত তিনটি আইড়ের প্রতি বিশেষ করে একটু নজর দিন।

(খ) বিশেষ অর্থ প্রকাশ : বিশেষ ভাব প্রকাশের জন্য আমরা বিশেষ কোনো শব্দ ব্যবহার করে থাকি। এটা হতে পারে শ্লোক/ শিলুক/ ধাঁধা/ প্রবাদ প্রবচন। যেমন-
আমি আইছি আৎকা আমারে ক ভাত খা।

হাওরপাড়ে এ সকল আইড়ে বিশেষভাবে প্রকাশ পায়।

(গ) নিদিষ্ট কোনো ঘটনা : কথকদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের গ্রামে-ঘটে যাওয়া বিশেষ কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ আইড়ের সৃষ্টি হয়। যেমন ধরুন একজন চারণকবি বাস্তব কোনো ঘটনাকে ছন্দে-ছন্দে আট পৃষ্ঠার মধ্যে লিপিবদ্ধ করে আবার সেটাকে নিজেই পাঠ করে বিক্রি করে। আপনারা যারা কিশোরগঞ্জ থেকে (৮০-৯০ দশকে) ট্রেনে করে মৈয়মনসিংহে গিয়েছেন তারা এমন চারণকবির দেখা পেয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। একটা ঘটনা শেয়ার করি। পরিবারটির সম্মানার্থেই তাদের গ্রামের নামটি উল্লেখ করছি না। তাহলে আসুন ঘটনাটি বলি-

কোনো এককালে হাওরপাড়ের কোনো এক গ্রামে দোইয়া এবং আহিদ নামে দুই ভাই ছিল। দুই ভাইয়ের দুই পরিবার নিয়ে ভালোই দিন চলছিল তাদের। তাদের পরিবারের পাশেই ছিল আওলাদ নামে একজন ব্যক্তি। দোইয়া ছিল ছোট এবং তার স্ত্রী ভুলবশত সকাল বেলা বড়ভাই আহিদের সামনে পাদ (বায়ুত্যাগ) মারে ছোট ভায়ের স্ত্রীর এমন বেয়াদবী কাজ দেখে আহিদ রাগে ঘরে চলে যায়। আর এ ঘটনাটি পাশের ঘরের আওলাদ লক্ষ্য করে এবং দোইয়ার কাছে বলে। দোইয়া কিছু বাছ-বিচার না করে বড়ভাই আহিদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য যায়। আহিদ আরো ক্ষেপে যায় এবং তার ছোটভাই দোইয়াকে একটা থাপ্পর মারে। ছোটভাইয়ের কাছে থাকা লাঠি দিয়ে তার বড়ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। তার দুই পরিবারে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যুক্ত হয় এ ঝগড়ার সাথে। এক প্রর্যায়ে বড়ভাই আহিদ ছোটভাই দোইয়া ও আওলাদের নামে মামলা করে। এ নিয়ে এলাকায় ভেসে বেড়াচ্ছে একটি শব্দ “পাদ” নিয়ে মামলা। এই ঘটনা নিয়ে হাস্যষ্কর প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় এলাকার মানুষের মধ্যে। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন মানুষ আইড় তৈরি করে এবং তা গ্রামে প্রচার করে। যেমন-

“আওলা দিছে বউলাইয়া
দোইয়া দিছে কইয়া,
আহিদ্দা যে মামলা করে
কোড ঘরে বইয়া।”

ঠিক এভাবে আমাদের হাওরপাড়ের আইড়গুলোর সৃষ্টি। এমন শত শত আইড়ের সৃষ্টি হয়েছে হাওরপাড়ে- তেমনি আরো কিছু আইড় তুলে ধরা হলো-

১। লাত্তি মাইরা ভাইঙ্গা দিব
পাক্কুনির মার বেড়া
তবু নাহি দেখতে দিব
জামাইল্লার মার ছেড়া।

২। আগদো বইছেরে
কুমার ব্যাডাডা
দুর থাইখ্যা দেহা যা
লোলো লোলো।

৩। আইল্লা বুড়ি ডাইল্লা বুড়ি
খাইলো খাইলো
বাইত থাইখ্যা উনেনা
চিলোও চিলোও।

শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর হাসান তুষারের সাথে লেখক

উপরোক্ত আইড়গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর হাসান তুষারের (৩৭) কাছ থেকে। তার কাছ থেকে সংগ্রহ করা আরো কয়েকটি লোকছড়া বা আইড় উল্লেখ করা হলো-

১। বুলবুইল্লারে ভাই বালা
একটা বড়ই ফালা

২। বুলবুইল্লারে ভাই তর
পুঁটকি ক্যারে লাল
আল হাতালা লেইখ্যা তইছে
ইন্দু মুসলমান

৪। আমারো নাই
তোমারো নাই

এমন প্রত্যেক গ্রামেই কোনো কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন আইড়ের জন্ম হয়েছে। যেমন-

১। এক তালা দুই তালা
বেলা বাজাইয়া
জামেনারে বিয়া দিছে
বইদা খাওয়াইয়া
এক তালা দুই তালা
বেলা বাজাইয়া
জামেনারে বিয়া দিছে।
মাইক বাজায়া।

২। কেলা হাতাত টিপ দে
কচু হাতাত আইগ্গা দে

৩। শিন্দার মা টুও
আংকি ভড়া গুও

উপরোক্ত আইড়গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রাম থেকে।

শাহপুরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ

১। অছো গত নছো গত
দুরে কত হানি
বিপদে পইড়া মানিক
মাডি খাও তুমি

২। নাতিনের নান্দা বলো বলো
লেলে তেলের দাগানি
চাইয়া তোররা দেখছানি
নাতীন খাওয়াইল সাড়া মেজবানি।

৩। কলির পরে বলি
কালের পরে শেষ
মদ্যের ফুগা মাগি মারব
কম্পানি নিব দেশ।

এ আইড়টি সম্ভবত নবাব সিরাজ উদ-দোলার পরাজয়ের পর সৃষ্টি হয়। আর উপরোক্ত তিনটি আইড়ই সংগ্রহ করা হয় নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গ্রাম থেকে। এমন আরো কয়েকটি সংগৃহীত খেলাধুলার আইড় তুলে ধরা হলো-

১। তাল মরানি তাল মরানি চিৎ কইরা
তাল মরানি তাল মরানি উইৎ কইরা

তাল গাছ কাডি তাল গাছ কাডি
তালের উরহে বাসা
আড্ডি নাই গুড্ডি নাই
মানুষ খাইবের আশা
শালা কোনো ধর।

বিলাই মেউ মেউ
কেতা আইন্না দেও
আগলা গরো থাকতামনা
বউ আইন্না দেও।

২। কি সন্দুর চেহারা
কুত্তা দেনা হাহারা

উপরোক্ত আইড়গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের বনমালীপুর গ্রাম থেকে।

আমার সংগৃহীত আরো কিছু আইড় নিম্নরূপ-

১। আলুর পাতা টাল্লুর টুল্লুর ভেন্না পাতা দই
হগল জামাই খাইতো বইছে ল্যাংড়া জামাই কই।
লেংড়া জামাই আলঅ গাই বিয়াইছে কালঅ
গাইয়ের নাম ধনি বাছুরের কম্পুনি।

২। আম গাছের ডালেতে কুডুম পাখি ডাকেরে
জামাইর মাগে করুনা হণমলদি গিয়া বাডনা
জামাই আইছে ঘাইমা ছাতি ধর ন্যাইমা।

বিশেষ অর্থ প্রকাশ করা এমন কিছু আইড়-

১. স্বভাব যায় না মরিলে ইজ্জত যায় না ধরিলে
২. মাঘ মাইয়া জারে বইশের হিং লাড়ে।
৩. সুবুদ্ধি ভাই মরনে দেশ পাইল অরানে চুরায় গাইল নেয় ঘন ঘন জিরানে।
৪. অভাবে স্বভাব নষ্ট মুখ নষ্ট বরনে জরায় খেত নষ্ট স্ত্রী নষ্ট মারনে।
৫. মানুষ যত ধনী অয় অভাব থাকে সবসময় গাও নষ্ট বাদে খেত নষ্ট খাদে।
৬. জাউয়ার বাজারি আউয়া ডেফলরে কয় ডেউয়া।
৭. নাও উঠলে মাঝি গাও উঠলে সাজি গদীত বইলে রায় তাল্লুকমীরাশ নীলাম ধইরা দাশ চধরী ফলায়!
৮. বাপ-দাদার নাম নাই চান মড়লের বিয়াই।
৯. মাইনষের মাইঝে বাইট্যা, কলার মাইঝে আইট্যা।
১০. হূড়ির কুড়ি বুদ্ধি নাপিতের ছয়, আর জাতের অয় কি না অয়।
১১. ফল খাইয়া জল খায় যামে বলে আয় আয়!
১২. আগা ভারি, পাছা টান মারে থইয়া ঝিরে আন।

উপরোক্ত বিশেষ ভাব প্রকাশের আইড়গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে নিকলী উপজেলার কুর্শা গ্রামের আল আমিনের কাছ থেকে।

আরো কয়েকটি ছড়া-

১। শাহ্ গাজি চুরামণি
স্থলে পর্বতে ধ্বনি
সংকটে গাজির নাম
লওরে ভাই আল্লার নাম
আল্লা নিগাবান
বলরে ভাই মোমিন
আল্লাহ্ রসুল
আল্লাহ্ আল্লাহর।

২। জন্মিয়া সুখ অইল না
আমি কপাল পোড়া
খাটলে আলুফা নাই
ভখতের বুরা।

৩। ব্যাঙা ব্যাঙির বিয়া
কুলা মাতায় দিয়া
বাইরও গো ব্যাঙাইর মা
মেঘ ডালিত দিয়া
মেঘ ডাকিতে আলতা ফোটা
মেঘ ডাকিতে চৈতা ফোটা
খালেঅ নাই পানি বিলেঅ নাই পানি
আসমান ভাঙ্গিয়া পরে ফোঁটা ফোঁটা।

৪। এমন ভক্কিলার দুয়ারে আইলাম রে
মটকার মাঝে চাউল তইয়া
আল্লার কসম করে রে।
উরউরি দেপতা মুরমুরি ভাই
এখান ছিটা পানি দেও
মেঘে বিইজ্যা যাই
কালা এগু বাইংগন ধলা এগু ধরুরে
উগার তলে থাকে ব্যাঙ
বিয়ার কালা মেলে টেং
ব্যাঙ বড় রসিয়া রে

উপরোক্ত ছন্দগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে জারইতলা, সাজনপুর, গাছতলা থেকে।

নিকলী পুরাতন বাজারের এক পাগলের কাছ থেকে একটি গান সংগ্রহ করেছি। সঙ্গত কারণেই উনার নামটা জানতে পারিনি। তবে অন্য কোনো পর্বে তার নামটা যুক্ত করে দিব। গানটি নিয়ে কথা হয় হাওর গবেষক খাইরুল আলম বাদলের সাথে। তিনি জানান, গানটি রচনা করেন গিরীন চক্রবর্তী।

মাসির বাড়ি কিশোরগঞ্জে
মামার বাড়ি চাতলপাড়।
বাপের বাড়ি বাউনবাইরা
নিজের বাড়ি নাইরে আমার!
আমি রে যে জলের ঢেউ
আমার বলতে নাইরে কেউ,
চান্দের হাট ভাইঙ্গা গেছে
একুল ওকুল অন্ধকার!!
আমি কই আমার আমার
তারা কয় না
চিঠি নাই পত্র নাই
খবর লয় না।
ঢাকার তারা আনল টাকা
মনে ভাবলাম ঘুরল চাকা,
আইসা দেখি সবই ফাঁকা
পোড়া কপাল চমৎকার!!

 

সহযোগিতায় : জুনায়েদ হায়দার (শাহপুর, জারইতলা), মো. জাহিদুল ইসলাম জুয়েল (শাহপুর, জারইতলা), জুনাইদ হাসান রাজু, ডিআই জনি।

সংগ্রহ সূত্র : শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর হাসান তুষার, কুর্শা গ্রামের আল আমিনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো বেশ কয়েকজন। একই সাথে গ্রামে লোকমুখে প্রচলিত ছড়াগুলোও উল্লিখিত।  

সকল পর্ব :

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ২

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৩

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৪

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৫

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৬

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৭

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৮

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৯

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১০

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১১

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১২

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৩

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৪

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৫

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৬

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৭

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৮

Similar Posts

error: Content is protected !!