হাওরপাড়ের সংস্কৃতিতে বারমাসি গান একটি বড় অংশ দখল করে আছে। হাওরপাড়ের প্রেম-ভালোবাসা, সুখের আশা-আকাঙ্ক্ষাও বারমাসি গানে এক অপরূপ ছন্দে ও তালে প্রকাশ পায়। সুখ কিংবা দুঃখ বারমাসি গানের ভিতর দিয়ে নারী হৃদয়ের অকপট অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি হওয়াই এ বারমাসি গানের বৈশিষ্ট্য।
অতএব বারমাসি গান মূলত নারীমনের আনন্দ, ব্যথা-বেদনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, মনের অনুভূতি, ক্ষোভ, আকুলতা প্রভৃতির বহিঃপ্রকাশ। [১]
বারমাসির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে আমাদের ফোকলোরবিদগণ তাঁদের চিন্তাধারা প্রকাশ করেছেন।-
যে নারীর স্বামী বা প্রেমিক বিদেশে অবস্থান করেন, তাকে লক্ষ্য করে ছয় ঋতুতে তার মনের বিরহ বেদনাকে কেন্দ্র করে যে গান গায়, তাকে বারমাসি গান বলে। চারিদিকের বিল-ঝিল পানিতে টইটুম্বর থাকে। মলুয়ার বারমাসিতে এসময় নিয়ে বলা হয়েছে-
আইল আষাঢ় মাস মেঘের বয় ধারা
সোয়ামীর চান্দ মুখ না যায় পাশরা।
মেঘ ডাকে গুরু গুরু দেওয়ায় ডাকে রইয়া
সোয়ামীর কথা ভাবি খালি ঘরে শুইয়া শুইয়া।
শাওন মাসেতে লোকে পূজে মনসা।
বারমাসি : লৌকিক ও অভিজাত রচনা
বারমাসি যদিও হাওরপাড়ের লোকসাহিত্যের উল্লেখযোগ্য শাখা তবুও এর রূপ কেবল লোকসাহিত্যে সীমাবদ্ধ নয়। বারমাসির লেখ্য ও কথ্য উভয় রূপ উপমহাদেশে সুদীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত। পৃথিবীর যে কোন দেশেই মৌখিক সাহিত্য আগে সৃষ্টি হয়েছে। লেখ্য রূপে সাহিত্য রচিত হয় পরে। তাই বারমাসির লৌকিক রূপই যে প্রাচীনতম এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।[১]
বারমাসির রূপ ও রস
লোকতত্ত্ববিদগণ বারমাসিকে বিরহ সংগীতের একটি অংশ বলেই মনে করেন। মূলত অধিকাংশ বারমাসিই বিরহের পটভূমিকায় রচিত। ড. আশুতোষ ভট্টাচার্যের মতে, “পরিবর্তমান প্রাকৃতিক পটভূমিকায় বিরহিনী নারীর সূক্ষ্ম মনোবিশ্লেষণ ইহার মধ্য দিয়া প্রকাশিত হইয়া থাকে। কিন্তু প্রকৃতি বর্ণনা অধিকাংশ বারমাসিতে প্রাধান্য লাভ করলেও বিরহিনীর সূক্ষ্ম মনোবিশ্লেষণ অধিকাংশ বারমাসিতে অনুপস্থিত; আর উভয়ের পার্থক্য সামঞ্জস্যবিধান দুর্লভ। কেননা একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে সঙ্গীত রচনায় বিরহের বিশ্লেষণ অনেক ক্ষেত্রে অনুকরণ বা অনুকরণের অনুকরণ হয়ে তা বৈচিত্র্যহীনতায় পরিণত হয়েছে। বারমাসি গানে বিরহিনীর দুঃখ বর্ণনার মধ্যে চিত্রিত হয়েছে সাধারণ মানবমনের সুখ-দুঃখ, সামাজিক রীতি-নীতি ও প্রকৃতি বর্ণনা। মানুষের হৃদয়বৃত্তির পাশাপাশি তার অর্থনৈতিক বিষয়ও কোন কোন বারমাসিতে আলোচিত হয়েছে। দুঃখের পাশাপাশি আনন্দ উৎসব, পূজা পার্বন প্রভৃতির বর্ণনাও বারমাসিতে আছে।”
প্রফেসর মযহারুল ইসলাম বারমাসিকে বর্ণনামূলক প্রেমসংগীত বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে “চিত্র প্রধান বলেই এর মধ্যে ভাবের গভীরতা মাঝে মাঝে ব্যাহত হয়েছে। তবে মানব মনের সঙ্গে প্রকৃতির যোগকে কত নিবিড় ও গভীর, এ গানে তার চমৎকারিত্ব হৃদয় স্পর্শ করে। বিরহের দীর্ঘশ্বাস এবং প্রেমানুভূতির আর্তি যেন এ গানের সুরে বাণীতে একাকার হয়ে আছে। আমাদের মনকে বিমোহিত করে। বারমাসি গান দেহাতী বাংলার কৃষক সমাজেই সমধিক প্রচলিত ছিল। এককালে পূর্ববঙ্গে হিন্দু মুসলমান কৃষক সমাজে সুদৃঢ় বিশ্বাস ছিল, অভিজ্ঞ গায়েন এইসব পালাগান গাহিয়া অনাবৃষ্টিতে বৃষ্টি নামাইতে পারেন। সিলেট অঞ্চলে লোকবিশ্বাস অনাবৃষ্টির সময় কোনো যুবক যদি কোনো গাছের ডালে বসে বাঁশিতে একনাগাড়ে বারোটি বারমাসি গানের সুর বাজাতে পারে তাহলে তৎক্ষণাৎ বৃষ্টি নামে। সিলেট ও তৎনিকটবর্তী কাছাড় (আসাম) অঞ্চলে বারমাসি গানের প্রয়োগ সম্পর্কে একটি প্রাচীন সাক্ষ্য।” [১]
তাই বারমাসির বিষয়বস্তু সম্প্রসারিত হয়। বারমাসি গবেষক আতোয়ার রহমান বারমাসির বিষয়বস্তুকে ছয়ভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা- ধর্ম, ভক্তি, কর্ম, কাহিনী, ব্যক্তিগত তথা পারিবারিক কথা এবং প্রেম।
বারমাসি আমাদের লোকায়ত জীবনের অংশ। তাই এর মধ্যে আমরা প্রত্যক্ষ করি আবহমান বাংলার এক শাশ্বতরূপ। আমাদের জীবনযাত্রার অনেক অঙ্গ; যেমন- সংস্কার, বিশ্বাস ইত্যাদি এর ভেতরে স্থান পেয়েছে। তাই বারমাসিগুলোর কেবল সাহিত্য মূল্যই নয় এর সামাজিক মূল্যও অপরিসীম। আমাদের সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্বের অনেক উপাদান এর মধ্যে নিহিত রয়েছে। সামাজিক রীতি-নীতি, প্রাকৃত বাঙ্গালীর প্রাত্যহিক কাজকর্মের বিবরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, নদীমাতৃক বাংলাদেশের ছবি, বিরহিনীর প্রতীক্ষা, বিলাস ব্যসন নারীর সতীত্বের প্রমাণ ও প্রচার বারমাসিতে পরিলক্ষিত হয়। বাংলা বারমাসি প্রাচীন যুগ থেকেই লৌকিক অভিজাত উভয় সাহিত্য শাখাতেই বিকাশ লাভ করে। তাই তার সাহায্যে সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মনৈতিক বিবর্তনের যতটা পরিচয় পাওয়া যাবে, তা বোধহয় সাহিত্যের আর কোনো অঙ্গ থেকেই পাওয়া সম্ভব নয়। [১]
বিরহীর বারমাসি
এ নায়িকার মন প্রাণ অশান্ত, বিরহ বেদেনায় অস্থির চিত্ত। সে স্বামীর খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চিন্তিত। সে আক্ষেপ করে বলল-
যে কালোর যে খানা ইতানি খারায়
সিনো আছ অনোনি অতা কড়িদি পারায়।
নিজের বেদনার পাশাপাশি সে স্বামীর আরাম-আয়েশ সম্পর্কে চিন্তিত। স্বামীসঙ্গ কামনার সঙ্গে সুখ-শান্তির জন্যও সে হাহাকার করছে।
নায়িকার সতীত্ব পরীক্ষা
নারীর সতীত্বের মহিমা প্রচার পুরুষশাসিত সমাজের এক প্রিয় অভ্যাস। বারমাসি সাহিত্যে এই প্রচারকর্ম সাধিত হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই, বিশেষত কাহিনীমূলক রচনায়। তবে পুরুষের নয়, যেন উদ্দেশ্যমূলক ভাবেই নারীর জবানিতে। সতীত্বের ব্যাপারটি নারীর নিজস্ব; পুরুষের দ্বারা আরোপিত নয় বোঝাতে।
নায়কের প্রেম নিবেদন, নায়িকার প্রত্যাখ্যান
বিরহিনী নারীর আর্তি প্রকাশ বারমাসির প্রধান উপজীব্য হলেও কতিপয় বারমাসিতে প্রেমকথা বর্ণিত হয়েছে। বারমাসিতে নায়িকার কাছে নায়ক তার অন্তরের ভালবাসা প্রকাশ করেছে। কিন্তু নায়িকা তাতে সাড়া না দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আশিকোর বারমাসিতে নায়ক বারমাস ধরে নানাভাবে নায়িকার মন ভুলাতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু সে কিছুতেই নায়িকার মন জয় করতে পারে না। বারমাসির প্রথম দিক পড়লে মনে হয় এটি নারীর সতীত্ব পরীক্ষামূলক বারমাসি। অর্থাৎ স্বামী ছন্দবেশে প্রেম নিবেদন করে গয়াইল। এটা গায়কের হাতে পড়ে পরিবর্তিত হতেও পারে। নায়ক মন খুলে কথা বলার জন্য মিনতি করেছে। কিন্তু নায়িকা বলেছে “মনখুলিয়া কইলে কথা আমার সর্বনাশ”। নায়ক কিছুতেই সফল হতে পারেনি।
পৌরাণিক বিষয়বস্তু অবলম্বনে বারমাসি রচিত হয়েছে। মনসামঙ্গলের কবি রাজনগরের গয়গত নিবাসী যষ্ঠীবর দত্তের স্ত্রী চন্দ্রাবতী একজন স্বভাবকবি ছিলেন। পণ্ডিত মথুরানাথ চৌধুরী সংগৃহীত চন্দ্রাবতীর দূর্গার বারমাসিতে মা মেনকার উদ্দেশ্যে দূর্গার বারমাসের দুঃখকথা বর্ণিত হয়েছে।
বাউলকবি রাধারমণের রাধার বারমাসিতে কৃষ্ণহারা রাধার বিরহমূর্ত হয়ে উঠেছে। তবে পরিশেষে রাধাকৃষ্ণের মিলনে বারমাসি সমাপ্ত হয়েছে।
ফাল্গুন মাসের দিন দোল পূর্ণমাসী
আসিলা ঠাকুর কৃষ্ণ আবিরের বৃষ্টি।
ভাবিয়া রাঁধারমণ বলে শুন সখীগণ
রাধা-কৃষ্ণের মিলন হইল রস বৃন্দাবন।
হাওরপাড়ের বারমাসি গানগুলো বারটি মাসের যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা আমাদের কাছে জ্ঞানের সঞ্চার। তবে এ গানের উৎপত্তি হাওরপাড় হবিগঞ্জে তার কোনো সন্দেহ নেই।
বৈশাখি ইলিশ
তুমি সু’বলে
জৈষ্টে কাঁঠাল
তুমি সু’ফলে।
আষাঢ়ের আঁশ
তুমি রয়েলে
শ্রাবণের চাষ
তুমি দোয়েলে।
ভাদ্রে মীরপুর
তুমি স্টেডিয়াম
আশ্বিনের মিনার
আমার লও সালাম।
কার্তিকে সোহরাওয়ার্দি
তুমি উদ্যান
অগ্রহায়ণে লাল-সবুজ
এক সু’নিশান।
পৌষের নজরুল
তুমি নিরালা
মাঘের সঙ্গিত
আমার সোনার বাংলা।
ফাল্গুনের ভাষা
তুমি শাপলা,
চৈত্রের আশা
আমার বাংলা।[২]
হাওরপাড়ে বারমাসের বর্ণনা দিয়ে সুখ-দুঃখ, বিরহ-বেদনার গান। বারমাসি অন্য গানের তুলনায় দীর্ঘ হয়, যেহেতু বৈশাখ থেকে শুরু করে চৈত্র পর্যন্ত বার মাসের বর্ণনা এই গানে দিতে হয়। গান পরিবেশনার কোনো বাধাধরা রীতি নেই। কোনো বাধাধরা সময়ও নেই। বছরের যে কোনো সময়েই এই গান গাওয়া যেতে পারে।
বারমাসি গানের উপাদান বিচিত্র। দেব-দেবীর বন্দনা, পৌরাণিক কিংবা সামাজিক ঘটনা, সংসার, কৃষিকাজ যে কোনো কিছুই বারমাসি গানের বিষয়বস্তু হতে পারে। বারমাসি গানের নির্দিষ্ট কোনো আঞ্চলিক প্রাধান্য নেই। বাংলাদেশের সর্বত্রই এই গান গাওয়া হয়। সাধারণত নারীরা যখন ক্ষেতে সমবেতভাবে নিড়ানির কাজ করেন, তখন তারা শ্রমক্লেশ লাঘবের জন্য এই গান গেয়ে থাকেন। ফলে বারমাসি মূলত কর্মসঙ্গীত।
বারমাসি গানের কথা বিবেচনা করলে একে বিচ্ছেদমূলক গান বলতে হয়। বারটি মাস ধরে যে বিরহ বা বিচ্ছেদ বয়ে চলেছে কারো জীবনে, তাকে কথায় ধরা হয় বারমাসি গানের বৈশিষ্ট্য। সুরের অবশ্য নির্দিষ্ট কোনো প্যাটার্ন নেই, ফলে অঞ্চলভেদে সুর ভিন্ন ভিন্ন হয়।
বারমাসি গানের প্রভাব মধ্যযুগের সাহিত্যে ব্যাপকভাবে আছে। ষোড়শ শতকের কবি মুকুন্দরামের কালকেতু উপাখ্যানে “ফুল্লরার বারমাসি” নামে একটা অধ্যায় আছে। বারমাসির ফর্মে আধুনিক গানও রচিত হয়েছে বহু। বাংলা গানে এবং গীতিসাহিত্যে বারমাসি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফর্ম।
হাওরপাড়ে বেশিরভাগ চরিত্রই নারীপ্রধান; যা আমরা মৈয়মনসিংহ গীতিকায়ও মহুয়া, মালুয়া ও চন্দ্রাবতীর মাঝে দেখতে পাই। আরো একটু ধারণা পাওয়ার জন্য আমার “হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব- ২, ৩ ও ৪” পড়ার আহ্বান জানাই।
আইতো যদি প্রাণের বন্ধু দুঃখ রইতো না
বন্ধু আইলো না আইলো না, আমারে দেখিতে বন্ধু আইলো না।
বৈশাখ মাসে কাঁঠাল পাকে জৈষ্ঠে পাকে আম।
কার মুখে দিব তুলিয়া ঘরে নাই মোর শাম।
জৈষ্ঠ মাস চলিয়া গেল আইলো রে আষাঢ়
অভাগীনির ছেংগা বন্ধু জানে না সাঁতার।
আষাঢ় গেল, শ্রাবণ মাসে গাঙে নয়া পানি
কারে লইয়া খেলব আমি রসের নাউ দৌড়ানি।
ভাদ্র মাসে তালের পিঠা কারে বা খাওয়াই
ডাইনে বামে চাইয়া দেখি, মনের মানুষ নাই।
বন্ধু আইলো না আইলো না
আমারে দেখিতে বন্ধু আইলো না ।।
ভাদ্র মাস চলিয়া গেল আইলো রে আশ্বিন
গোয়ালঘরে যাইয়া দেখি গাই হইছে গাভীন।
গাই বিয়াইলো দুধে হইলো মাখন
আরো ছানা কত মানুষ খাইয়া গেল বন্ধু তো খাইলো না।
আরে আশ্বিন মাস চলিয়া গেল আইলো রে কার্তিক
যৌবনেরও জ্বালা আমার বাড়িল অধিক।
আরে কার্তিক গেল, অগ্রান মাসে পাকলো আমন ধান
কই রইলো কই রইলো আমার বন্ধু সোনার চাঁন।
ওরে আমন ধানে ভাজলাম আমি চিড়া-মুড়ি-খই
গাছে পাকা সবরি কলা, গামছায় বান্ধা দই।
বন্ধু আইলো না আইলো না
আমারে দেখিতে বন্ধু আইলো না।
অগ্রান গেল, পৌষ মাসেতে শীতে দিল দেখা
বাসরও সাজাইয়া আমি রাত্রি কাটাই একা।
মাঘ মাসেতে আইতো যদি, না লাগিত খেতা
বন্ধুর বুকে বুক লাগাইয়া কইতাম মনের কথা।
ওরে মাঘও চলিয়া গেল আইলো রে ফাল্গুন
ঘুষিয়া ঘুষিয়া জ্বলে পিরিতির আগুন।
ওরে ফাল্গুন মাস চলিয়া গেল আইলো চৈত্র মাস
ঘরের ভাত ফুরাইয়া গেল থাকি উপবাস।
ওরে বার মাসের ছয়-ই ঋতু পার হইয়া যায়
শুনিলেরও যৌবন গেল তুই বন্ধুর আশায়।
বন্ধু আইলো না আইলো না
আমারে দেখিতে বন্ধু আইলো না।
আইতো যদি প্রাণের বন্ধু দুঃখ রইতো না মনে
বন্ধু আইলো না আইলো না
আমারে দেখিতে বন্ধু আইলো না।
এ তথ্য ও গান সংগ্রহ করা হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের বাউলশিল্পী তাহের সরকারের কাছ থেকে।
সহযোগিতা : পরাগ বর্মণ, মোঃ জুনাঈদ হাসান রাজু।
সংগ্রহ সূত্র : বাউলশিল্পী তাহের সরকার ও নিকলীর জাকির দেওয়ান।
তথ্যসূত্র : [১] সিলেটের বারমাসি গান। [২] উইকিপিডিয়া।